কার্মাটারে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিস্থল পরিদর্শন

 কার্মাটারে বিদ্যাসাগরের স্মৃতিস্থল পরিদর্শন


পশ্চিমবঙ্গের, পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বেলদা ও কেশিয়াড়ি এলাকার ৬ বিদ্যাসাগর অনুরাগী সোমবার কার্মাটারে বিদ্যাসাগর এর স্মৃতিস্থল পরিদর্শন করলেন। ১২২৭ বঙ্গাব্দের ১২ আশ্বিন পূর্বতন অবিভক্ত মেদিনীপুর, বর্তমান পশ্চিম মেদিনীপুরের বীরসিংহ গ্রামে পণ্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের জন্ম। সেই জেলার মানুষ হিসেবে আমরা গর্বিত। এদিন পরিদর্শকদের মধ্যে ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষক ও সাংবাদিক অখিলবন্ধু মহাপাত্র। তিনি বলেন কার্মাটারে নন্দনকানন বাঙালির কাছে এক গর্বের নজির। মানব প্রেমের মূর্ত প্রতীক বিদ্যাসাগরকে নতুন করে আবিষ্কার করা যায়। সাঁওতাল বিদ্রোহ উত্তর সময়ে উপেক্ষিত আদিবাসী সাঁওতাল সম্প্রদায়ের পাশে এসে দাঁড়িয়ে ছিলেন। বিদ্যাসাগরের স্মৃতি রক্ষার্থে একটি সংগ্রহশালা গড়ে তোলা প্রয়োজন। চালু করা উচিৎ বন্ধ হয়ে যাওয়া বালিকা বিদ্যালয়টি। এক্ষেত্রে ঝাড়খণ্ড ও পশ্চিমবঙ্গ উভয় সরকারের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ প্রয়োজন। তবে ভারতীয় রেল মানবতাবাদী ননবজাগরণের মূর্ত প্রতীক বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত স্টেশনের সৌন্দর্যায়নের ব্যবস্থা করায় আমরা আনন্দিত।


 

পশ্চিম মেদিনীপুর এর জনপ্রিয় লোক কবি পরেশ বেরা বলেন, বিদ্যাসাগর মহাশয়ের ব্যবহৃত ঘরে ঢুকতেই শিহরিত হলাম। নন্দনকানন এর ভিতরের অংশ আরও সুসজ্জিত হলে ভালো হয়। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের কিছু পুরানো ছবি এবং তাঁর সম্বন্ধীয় গ্রন্থাবলী রাখা প্রয়োজন।

জেলার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ও স্বরলিপি সঙ্গীত একাডেমীর সাম্মানিক অধ্যক্ষ প্রদীপকুমার মাইতি বলেন, অনেক দিনের একটি স্বপ্ন আজ পূরণ হল। কার্মাটারের এই মাটিকে প্রণাম জানাই।

এদিনের প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য শিক্ষক ফটিক বেরা বলেন কার্মাটারের এই মাটিতে বিদ্যাসাগরের নামাঙ্কিত একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু করা অত্যন্ত জরুরি।

এছাড়াও লেখক ও সমাজকর্মী মলয় কুমার দাস এবং বিশিষ্ট সাংবাদিক বিশ্বসিন্ধু দে কার্মাটাড়ের এই মাটিতে আরও রক্ষণাবেক্ষণ এবং সৌন্দর্য্যায়নের প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন। সকলেরই বক্তব্য কার্মাটাড়ের এই এলাকায় পৌঁছানোর জন্য জামতাড়া থেকে রাস্তায় উপযুক্ত দিক নির্দেশিকা বোর্ড লাগানো প্রয়োজন। এদিন এই প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন কার্মাটারের নন্দন কাননের কেয়ারটেকার জীতেন্দ্র মণ্ডল। শুধু কার্মাটারের নন্দনকানন নয়, বিদ্যাসাগর স্টেশনটিও ঘুরে দেখেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা।

প্রতিবেদক - গৌতম চট্টোপাধ্যায় , দুমকা

No comments:

Post a Comment

বর্ণপরিচয়