নববর্ষে : শ্যামল কুমার মন্ডল

 নববর্ষে

শ্যামল কুমার মন্ডল


এ নববর্ষে নেই কো হর্ষে

আমজনতার দল

আশা নিরাশার দোলাচলে মন

অস্থির চঞ্চল।


বাঁচার স্বপন রাজকুমারের

শিয়রে মরণ কাঠি

মায়ের মুখের হাসিটা কেড়েছে

ভায়ে ভায়ে লাঠালাঠি।


রাজনীতি হলো নীতিহীন

হীন ধর্ম-মুখোশধারী

আসলটা ঢেকে সুদ তুলতেই

ব্যস্ত যে কারবারি।


বিবেকের ঘরে তালাচাবি তাই

যৌবন ওঠে নিলামে

যাক না দু-দশ বছর ফালতু

কিনে নেবে কম দামে।


শূন্য পশরা হাট থেকে ফেরে

হল-বলরাম চাষি

মেলে নি ন্যায্যদামের দাবিটা

চাষি- বউ উপবাসী।


মহামারিতেই চাকরি গিয়েছে

পরিযায়ী পরিচয়

দেশের মানুষে বিদেশী তকমা

নীরবে কান্না বয়।


ছাত্রজীবনে অশনির ছায়া

অনিশ্চিতের বাজ

ক্ষণে ক্ষণে হানে নিষ্ঠুরাঘাত

স্বস্তি দেয় না আজ।


শিক্ষা, স্বাস্থ্য, চাকরি, জীবন

অন্ধকারের তীরে

এরই মাঝে আসে নতুন বছর

তমসার বুক চিরে।


আনুক সে আজ সকলের মনে

নির্ভরতার আলো

আঁধার ভাঙার গান-গাওয়া পাখি

বাসবোই তাকে ভালো।

আলোচনাসভা: বিষয় - "বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তার উত্তরোত্তর সংকট : প্রতিরোধ আন্দোলন কীভাবে?"

 আগামী ১৯ এপ্রিল বেলা ১-৩০টা থেকে ৫ -০০টা পর্যন্ত চিনারপার্ক-এ সমিতির কার্যালয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হবে। আগ্রহী যে কেউ এই সভায় যোগ দিতে পারেন। আলোচ্য বিষয় - "বাংলা ভাষা ও বাঙালি জাতিসত্তার উত্তরোত্তর সংকট : প্রতিরোধ আন্দোলন কীভাবে?"

বক্তা: ভাষা আন্দোলনের একনিষ্ঠ যোদ্ধা, কেশব মুখোপাধ্যায়।

যথাসময়ে আগ্রহীরা এই আলোচনায় যোগ দিন। কে কে আসছেন, ফোনে বা হোয়াটসঅ্যাপে ১৮ এপ্রিলের মধ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারীকে জানান। সভার দিন যথাসময়ে আসুন।।

আলোচনা সভার খসড়া অনুষ্ঠানসূচি-

-সভাপতি : রণজিৎ মণ্ডল

-উদ্বোধন সঙ্গীত : দেবাশিস মণ্ডল

-ফুল ও সমিতির প্রকাশনা দিয়ে বক্তাকে বরণ : মীনাক্ষী মল্লিক ও রাজ ব্যানার্জি

-বক্তব্য : কেশব মুখোপাধ্যায়

-প্রশ্নোত্তর

-কবিতা :প্রণব ভৌমিক

-পরবর্তী পদক্ষেপ : শক্তি মণ্ডল

-সভাপতির বক্তব্য

-সমবেত সমাপ্তি সঙ্গীত : পরিচালনা দেবাশিস মণ্ডল

-সভাশেষে হালকা টিফিন ও চা।।


- শক্তি মণ্ডল,  সভাপতি,সত্যেন মৈত্র জনশিক্ষা সমিতি

প্রয়াত আরতি কাহেলি

দুমকা , অবসর প্রাপ্ত শিক্ষিকা আরতি কাহেলি শনিবার মারা গেলেন । ঝাড়খন্ড রাজ্য প্রাথমিক শিক্ষক সংঘের পক্ষ থেকে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বোস শিক্ষক সংঘ ভবনে শোক সভা আয়োজন করে উনার আত্মার শান্তি কামনা করা হয় ।দুমকা শহর সংলগ্ন মধ্য বিদ্যালয় কুরুয়া তে উনি দীর্ঘদিন শিক্ষকতা করেন । ২০১৬ সালে অবসর নেওয়ার পর শিক্ষক সংঘের মহিলা সংগঠনের দায়িত্বে ছিলেন ।বাঙালি অধ্যুষিত কুরুয়া গ্রামের ছাত্র ছাত্রী দের মধ্যে উনি ছাপ ছেড়ে গেছেন ।



ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি, পাকুড় শাখা

দুমকা, পাকুড় ও সাহেবগঞ্জ জেলার হিন্দু বাঙালিরা প্রাচীন কাল থেকে পশ্চিম বঙ্গের জঙ্গিপুর থানার এলাকায় দাহ সংস্কার করে ।করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে ওই রাজ্যের জেলা শাসক ও স্থানীয় সাধারণ মানুষ ঝাড়খণ্ডের শব ঐ রাজ্যে প্রবেশ করতে দিচ্ছেনা । ১৯১১ সালে পশ্চিম বঙ্গ কে টুকরো করে বিহার কে স্বতন্ত্র রাজ্য ঘোষণা করার ১১০ বছর পরেও এখান কার সাধারণ মানুষ ধূলিয়ানে দাহ সংস্কার করে ।

মানিক দেব, পাকুড়


ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি, পাকুড় শাখার সচিব মানিক চন্দ্র দেব এই বিকট পরিস্থিতির বিষয়টি পাকুড়ের ডেপুটি কমিশনার এর কাছে তুলে ধরে পাকুড় জেলায় দাহ স্থল চিহ্নিত করে নদী ও পুকুরের দাহ স্থল কে সার্বজনীন স্থল ঘোষণা করার দাবি করেছেন ।


প্রতিবেদক - গৌতম চট্টোপাধ্যায় । 

শুভ নববর্ষ ১৪২৮ : অ ঙ্ক ন রা য়

 শুভ নববর্ষ  ১৪২৮

অ ঙ্ক ন  রা য়


দিনটা অন্য দিনের মতই,

গাছে গাছে কত ফুল ফোটাফুটি দেখি।

আকাশে আকাশে এখনও নীলের

মাঝেসাঝে কিছু কবিতার লেখালেখি। 

তবু শুভ নববর্ষ বলতে

মনটা কেন যে বাধো বাধো ঠেকে আজ!

মানুষের বড় দুঃসহ দিন,

মনে হাহাকার, হাতে নেই কিছু কাজ।


সকলের নেই, এমনটা নয়,

তবু ঠকে যাওয়া মানুষই যে আজ বেশি।

বোকা হাভাতের দল ছুটে যায়

দেখতে নাটক, রাজাদের রেশারেশি।

এর মাঝে বাসা বেঁধেছে দীর্ঘ 

সময়ের তালে তালে মারণের রোগ।

তবু শুভ নববর্ষই বলি

মরিয়া হয়েও, থাক যত দুর্ভোগ!


দিনটা অন্য দিনের মতই,

শুধু নেই কোনও 'মহামানবের' ডাক!

দিকে দিকে যেন শঙ্খ বাজে না,

অভাগা বাঙলা এ ভাবেই পড়ে থাক।

নষ্ট সময় কাটবে যে কবে,

কবে মানুষের হৃদয়ে ফুটবে হর্ষ!

সেই দিন আর জোর করে নয়,

স্বতঃস্ফূর্ত হবে শুভ নববর্ষ।। 


--------------

ব্যারাকপুর, ১লা বৈশাখ, ১৪২৮

বাঙালির স্বাজাত্যবোধ : প্রসেনজিৎ দত্ত

 বাঙালির স্বাজাত্যবোধ

********

         প্রসেনজিৎ দত্ত

নতুন বছর বয়ে আনত

শোভাযাত্রা, বৈশাখী কত মেলা !

নতুন বছর বয়ে আনত

পাড়ার দোকানে হালখাতাগুলি খোলা।


নতুন বছর বয়ে আনত

শুভেচ্ছামাখা পোস্ট-অফিসের খাম,

নতুন বছর বয়ে আনত

মিষ্টিমুখ আর গুরুজনদের প্রণাম ।


হৃদয়েতে ঠাসা নব নব খুশি,

কতই রং-বেরং,

ছুঁড়ে ফেলে দিই এই নৈরাজ্য

গ্লানি- ময়লার জং।


নববর্ষে বাঙালির বুকে

নহবৎ বেজে ওঠে,

অনেক কিছুই হারিয়েও বাঙালি

স্বাজাত্যবোধে বেঁচে থাকে।


ঐতিহ্যের ধারক বাহক

বাঙালির জাতিসত্তা,

আগামী প্রজন্ম বয়ে নিয়ে যাক

উৎসবের সারবত্তা ।


জীবনের যত গহন তমসা

ধুয়ে মুছে হোক দূরীভূত,

বাঙালি আবার আগের মতই

চিন্তনে হোক বিশ্বায়িত।

বর্ষবরণ অনুষ্ঠান: হরিসভা স্কুল, মুজাফফরপুর

শুভ নববর্ষের শুভেচ্ছা। আজ হরিসভা স্কুল, মুজাফফরপুর, প্রাঙ্গণে একটি ছোট্ট বর্ষবরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। সকল ১০টায় হরিভক্তি প্রদায়ানি সভার সভাপতি শ্রী গোপাল চন্দ্র রায় ও বিহার বাঙালী সমিতির সভাপতি ড০ দূর্গাপদা দাস, সচিব শ্রী দেবাশীষ গুহ উপস্থিত সকল কে নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। শঙ্খধ্বনি দিয়ে অনুষ্ঠান আরম্ভ হয়। শ্রী গোপাল চন্দ্র রায়, শ্রীমতী সংযুক্ত ভট্টাচার্য, শ্রী অভিজিৎ দাস গান পরিবেশন করেন। 




সকলে ভাল থাকবেন।

নমস্কার জানিয়ে শেষ করলাম।

শুভাশীষ বোস

মুজাফফরপুর।

পয়লা বৈশাখ: ভারত সেবাশ্রম সংঘ দুমকা শাখার রানিশ্বরের আশ্রমে

ভারত সেবাশ্রম সংঘ দুমকা শাখার রানিশ্বরের আশ্রমে সাড়ম্বরে পালিত হল পয়লা বৈশাখ । বৃহস্পতিবার ১৪২৮ বঙ্গাব্দের পয়লা বৈশাখ আশ্রামে পূজা ও হোম যজ্ঞ করেন স্বামী নিত্যব্রতা নন্দ মহারাজ ও স্বামী অর্ণবা নন্দ মহারাজ । অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন আশ্রম পরিচালন সমিতির সদস্য গৌতম চট্টোপাধ্যায়, চঞ্চল পান্ডা, প্রবোধ কুমার সেন, সুকদেব ঘোষ, রঞ্জনা ভট্টাচার্য, ডা. অশোক ভট্টাচার্য, নমিতা ঘোষ, পানমানি টুডু চাপামুনি মুর্মু, দোলনি হাঁসদা, পরমিতা সরকার, তুলুসি সেনগুপ্ত,সাধন ধীবর, দেবাশীষ রায়, জয়দেব দে, হারেন্দ্র মাঝি, অভিনন্দন মুর্মু, সুখমোহন হেমবর বোধ বোদরা, আশীষ সরেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন । 






স্বামী নিত্যব্রতা নন্দ জানিয়েছেন আশ্রম প্রতিষ্ঠার সময় ২০০৬ সাল থেকে এখানে বাংলা নববর্ষ পালিত হয় । কেন্দ্র সরকারের ট্রাইবেল আপলিফট পরিকল্পায় এখানে আবাসিক বিদ্যালয় ও হসপিটাল চালিত হয় । সাঁওতাল সমাজের প্রথাগত পার্বন গুলির তিথি নির্ধারিত হয় বাংলা পঞ্জিকা মতে, চাষের কাজের প্রস্তুতি হয় বাংলা নব বর্ষের দিন । পরিচালন সমিতির সদস্য ও বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতির সদস্য গৌতম বাবু বলেছেন দেশের ১৮ টি রাজ্যে বৈশাখ মাসে শুরু হয় নব বর্ষ ।বাংলা পঞ্জিকা মতে পয়লা বৈশাখ শুরু হয় বঙ্গাব্দ । এখানে বঙ্গাব্দ ,খ্রিস্টাব্দ ,  বিক্রম সম্বত, হিজরী সব নিয়ম ও প্রথা মান্য ।পাঞ্জাবে পালিত হয় বৈশাখী, আসমে বিহু, কেরল রাজ্যে বিশু মহারাষ্ট্রে গুডিপডবা ,বিক্রম সম্বতে চৈত্র মাসে শুরু হয় নব বর্ষ । নানা ভাষা, নানা মত, নানা পরিধান এই মিলনের মধ্য দিয়ে আমাদের রাষ্ট্রে নব বর্ষ কে নিয়ে রাজনীতি বন্ধ হোক ।

প্রতিবেদন - গৌতম চট্টোপাধ্য়ায়

১৪২৮ কে স্বাগতম

 বিদায় ১৪২৭। আমরা সুখ দু:খের অনেক স্মৃতির পথ পেরিয়ে এলাম।

১৪২৮ কে স্বাগতম।নতুন বছরের প্রথম দিন আজ।শুভ নববর্ষে আজকের বিশেষ দিনটিতে বিশেষ একটি চাওয়া।

আমাদের সকলের জন্যে, গোটা বিশ্বের জন্যে আগামী দিন যেন বয়ে আনে 

সুস্থতার বার্তা।বড় প্রয়োজন মানসিক শান্তির।

মঙ্গলময়ের কাছে আসুন সমবেত 

প্রার্থনা জানাই সকলের কল্যাণ কামনায়।

উচ্চারিত হোক শুভ নববর্ষে 

শাশ্বত মন্ত্র জগত কল্যাণের।

সর্বে ভবন্তু  সুখিন:।

সর্বে সন্তু নিরাময়া:।

সর্বে ভদ্রাণি পশ্যন্তু

মা কশ্চিৎ দু:খভাগ্ভবেৎ।।

হে ঈশ্বর

আমার সমস্ত মিত্র,বন্ধুবান্ধব সকলকে 

সপরিবারে সুখী রাখো।সকলকে সর্ব রোগ ভোগ থেকে মুক্তি দিও।

হে ঈশ্বর

আজকের দিনে এইটুকু প্রার্থনা জানাই

তোমার শ্রীচরণে।

ওঁ শান্তি শান্তি শান্তি।


অজয় সান্যাল

পূর্ণিয়া শাখা।

নীল পূজা ও গাজন- চড়ক উৎসব পালিত

 

বাংলা পঞ্জিকা মতে মঙ্গলবার রানিশ্বর এর শিব মন্দিরে নীল পূজা ও গাজন- চড়ক উৎসব পালিত হল ।রানিশ্বরনাথ মন্দিরে ৩০ শে চৈত্র তেলপুড়া গাজন মেলা আয়োজিত হয়। চার শত বছর থেকে এখানে সাড়ম্বরে পালিত হয় সাত দিনের গাজন মেলা। মঙ্গলবার ভোরবেলা মন্দির চত্বরে ভক্তেরা খালি পায়ে অগ্নি কুণ্ডে ফুলখেলা করে। মন্দির সমিতির উপদেষ্টা চঞ্চল পান্ডা জানিয়েছেন করোনা। সংক্রমণের ভয়াবহতা কে মাথায় রেখে এবার মেলার আয়োজন বন্ধ করা হয়েছে। সচিব চাঁদ রায় বলেছেন মন্দিরে কোভিড ১৯ এর গাইড লাইন কে মাথায় রেখে পূজা সম্পন্ন করা হয়।

রানিশ্বর নাথ মন্দির

রানিশ্বর নাথ মন্দিরে নিলপূজা ও চড়ক ,ভক্তের ভিড়



 

প্রতিবেদন - গৌতম চট্টোপাধ্যায়

১৩ এপ্রিল 'বর্ণপরিচয় দিবস'

 ১৩ এপ্রিল 'বর্ণপরিচয় দিবস'

‌‌ - শক্তি মণ্ডল

বিদ্যাসাগরই বঙ্গদেশে শিশুশিক্ষার ও জনশিক্ষার প্রকৃত সোপান রচনা করেছিলেন। এক্ষেত্রে তার শ্রেষ্ঠ শিল্প সৃষ্টি ও বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার 'বর্ণপরিচয়'। ১৮৫৫ সালের ১ বৈশাখ (১৩ এপ্রিল) 'বর্ণপরিচয় প্রথম ভাগ' এবং ১ আষাঢ় (১৪ জুন) 'বর্ণ পরচয় দ্বিতীয় ভাগ' প্রকাশিত হয়।
১৮৯০ সালের মধ্যে বারংবার পরিমার্জনের মধ্য দিয়ে প্রথম ভাগের ১৫২ টি মুদ্রণ/ সংস্করণ (মোটয়৩৩,৬০,০০০ কপি) এবং দ্বিতীয় ভাগের ১৪০টি মুদ্রণ/সংস্করণ (মোট ১৫,৯০,০০০ কপি) প্রকাশিত হয়। কী গভীর অধ্যবসায় ও নিষ্ঠা নিয়ে তিনি এ কাজ করেছিলেন, তা ভাবলে বিস্ময়ে হতবাক হতে হয়।
সুহৃদ মদনমোহন তর্কালঙ্কারকে সহায়তা করতে গিয়েই বিদ্যাসাগর উপলব্ধি করেন যে সম্পূর্ণ নতুন ঢঙে শিশুশিক্ষার পাঠ রচনা করা ছাড়া কোনও পথ নেই । অতঃপর দীর্ঘ অনুশীলনের মধ্য দিয়ে রচিত হয় জ্ঞান রাজ্যে প্রবেশের তোরণ 'বর্ণপরিচয়'।
' বর্ণপরিচয়' রচনা করতে গিয়ে তিনি উচ্চারণ ধ্বনি অনুসারে বর্ণগুলিকে সুশৃঙ্খলভাবে সাজালেন ।স্বরবর্ণের স্থান হল শুরুতে। বাংলাতে যেসব বর্ণের প্রয়োগ নেই (যেমন দীর্ঘ ঋ, দীর্ঘ লি) সেগুলিকে তিনি বাতিল করলেন। ং,ঃ- কে ব্যঞ্জনবর্ণভুক্ত করলেন।ঁ ,ড়,ঢ় য়-এর স্বতন্ত্র অস্তিত্ব স্বীকার করলেন।ক্ষ (ক+ষ) -কে ব্যঞ্জনবর্ণ থেকে সরিয়ে নিয়ে সংযুক্ত বর্ণে তার স্থান নির্দিষ্ট করলেন। ফলে আগেকার ৫০টির জায়গায় বর্ণের সংখ্যা হল ৫২টি( স্বরবর্ণ ১২,ব্যঞ্জনবর্ণ ৪০)।
শুধু বর্ণ-শৃঙ্খলা নয়। ইতিপূর্বে বাংলা হরফগুলি নানা স্থানে নানা রূপে প্রচলিত থাকায় বেশ অসুবিধা হত।গভীর চিন্তা ও পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর বিদ্যাসাগর এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট ছাঁচের প্রচলন করলেন। তা করতে গিয়ে ১৭৭৮ সালে হ্যালহেডের নির্দেশে পঞ্চানন কর্মকার 'বাংলাভাষার ব্যাকরণ' ছাপার জন্য যে হরফ তৈরি করেছিলেন, এবং ১৮০০ সালে উইলিয়াম কেরি বাংলা ব্যাকরণ গ্রন্থে যে ধরনের হরফ ব্যবহার করেছিলেন , বিদ্যাসাগর অনেক ক্ষেত্রে তারও রূপান্তর ঘটালেন।মুদ্রণ সমস্যা সম্পর্কে এত বিশদ চিন্তা এর আগে আর কোনও বাঙালি করেননি।
শব্দচয়নের ক্ষেত্রে ধ্বনি ও ব্যঞ্জনার প্রতি তীক্ষ্ণ নজর রেখে তিনি পাঠগুলির বিন্যাস ঘটালেন শিশুমনের সুষ্ঠু বিকাশ সাধনের লক্ষ্য সামনে রেখে। ছোটো ছোটো শব্দ,সুসংহত বাক্যের মধ্য দিয়ে প্রকৃতি-জিজ্ঞাসা, সমাজ পরিচয় -এর সূত্রপাত ঘটালেন অন্তরঙ্গ আবহাওয়া রচনা মাধ্যমে।" জল পড়িতেছে, পাতা নড়িতেছে, কাক ডাকিতেছে,গরু চরিতেছে" প্রভৃতি প্রচলিত বাংলাকে স্বচ্ছন্দে অন্তর্ভুক্ত করলেন পাঠের মধ্যে। প্রবর্তন করলেন বিরতি চিহ্নের ও অর্থবহ পরিচ্ছেদ বিভাগের।
সংক্ষেপে 'বর্ণপরিচয়'- এর বৈশিষ্ট্য হল-
* শিশুদের সুকুমার মনের উপযোগী করে পাঠগুলিকে গড়ে তোলা।
* উচ্চারণ ধ্বনি অনুসারে বর্ণ-শৃঙ্খলা।
* হরফের সুনির্দিষ্ট ছাঁচ নির্বাচন ও মুদ্রণ।
* সহজ-সরল শব্দ নির্বাচন ও পাঠ বিন্যাস।
* সুসংহত যতিচিহ্নের প্রবর্তন ও অর্থবহ পরিচ্ছেদ বিভাজন।
* শিশুদের মনে প্রকৃতি ও সমাজ জিজ্ঞাসার উন্মেষ ঘটানো।
বিদ্যাসাগর ছিলেন বস্তুবাদী দর্শনের বিশ্বাসী একজন বিজ্ঞানমনস্ক মানবতাবাদী শিক্ষক। প্রকৃত আচার্য।তাঁর এই জীবনে দর্শনের ছাপই পড়েছে 'বর্ণপরিচয়'-এর সামগ্রিক পরিকল্পনায়।
পরবর্তীকালের সকল পাঠ্যপুস্তক-প্রণেতা বিদ্যাসাগরের এই রীতি থেকে শিক্ষা নিয়েছেন।
রবীন্দ্রনাথ তাঁর 'জীবনস্মৃতি'-তে বর্ণপরিচয় সম্পর্কে লিখেছেন," আমার জীবনে এইটেই আদি কবির প্রথম কবিতা। সেদিনের আনন্দ আজও যখন মনে পড়ে, তখন বুঝিতে পারি কবিতার মধ্যে মিল জিনিসটার এত প্রয়োজন কেন।.... এমনি করিয়া ফিরিয়া ফিরিয়া সেদিন আমার চৈতন্যের মধ্যে জল পড়িতে ও পাতা নড়িতে লাগিল ।"
শুধু বর্ণপরিচয় রচনা করে বিদ্যাসাগর থেমে থাকেননি। বহু যত্ন করে তিনি তৈরি করেছিলেন তার পরবর্তী পাঠের বইগুলিও।
আজকের দিনে ভোগবাদের হাওয়া, ধান্দার ধণতন্ত্র ও ধর্মমোহ আমাদের সমাজ জীবনকে ছিন্নভিন্ন করে দিচ্ছে। পরিকল্পিতভাবে ধ্বংস করা হচ্ছে সুকুমার মনোবৃত্তিগুলিকে। এই অবস্থায় আমাদের নতুনভাবে শিশু, কিশোর, পরিণত বয়স্কদের মধ্যে সচেতনভাবে প্রসারিত করতে হবে বিদ্যাসাগর চর্চাকে।।

" বিদ্যাসাগরের জীবন ও অবদান" লেখক - শ্রী শক্তি মণ্ডল

 সবাই জানেন যে আজকের দিনে মুক্তচিন্তার পথিকৃৎ বিদ্যাসাগর সম্পর্কে চর্চা করা কত জরুরি। আমরা তাই বেশ কয়েক বছর ধরে নিরন্তর বিদ্যাসাগর সম্পর্কে লেখা, আলোচনা সভা, অনুষ্ঠান ইত্যাদি করে চলেছি। কিন্তু আমরা সব সময় একটি গুরুতর সমস্যার মুখোমুখি হয়েছি। সেটি হল একেবারে সাধারণ মানুষ ও শিশু- কিশোরদের জন্য সহজ সরল করে লেখা, নির্ভরযোগ্য বিদ্যাসাগরের জীবনীর একান্ত অভাব। আনন্দের যে এই অভাবের কথা মনে রেখেই শক্তি মণ্ডল লিখেছেন," বিদ্যাসাগরের জীবন ও অবদান"। আগামী ১২ এপ্রিল সোমবার এটি প্রকাশিত হবে কলেজ স্ট্রিটের 'মনীষা গ্রন্থালয়'-এ। মুদ্রিত দাম ৫০ টাকা। তবে ৫ কপি বা তার বেশি নিলে আমাদের সমিতির কাছে এর প্রতি কপি ৩৫ টাকা দামে পাওয়া যাবে।



যাদের বিদ্যাসাগর সম্পর্কে তেমন কিছু জানা নেই, তেমন নরনারী ও শিশু-কিশোরদের কাছে এই পুস্তিকাটি ব্যাপকভাবে পৌঁছে দেবার বিপুল উদ্যোগ গ্রহণ করুন।।

বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য

সহ-সাধারণ সম্পাদক,

সত্যেন মৈত্র জনশিক্ষা সমিতি

১১.০৪.২০২১


প্রয়াত সাইমন মারান্ডি

 ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চা দলের পূর্ব মন্ত্রী ও দলের কেন্দ্রীয় উপাধ্যক্ষ সাইমন মারান্ডি সোমবার রাত্রে কোলকাতার আর. ,এন. টেগোর হসপিটালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন । লিটিপাড়া বিধানসভার পূর্ব এমএলএ সাইমন বাবু বেশ কিছু দিন থেকে অসুস্থ ছিলেন ।গত ১৪ মার্চ ওনাকে কোলকাতার বেসরকারি হসপিটালে ভর্তি করা হয় ।সাইমন বাবু পাঁচ বার ১৯৭৭,১৯৮০,১৯৮৫,২০০৯ ও২০১৭ এমএলএ ছিলেন । ২০১৭ রবিধানসভার নির্বাচনে বিজেপি দলের প্রার্থী ছিলেন, তবে ওই নির্বাচনে পরাজিত হন । উনি রাজমহল লোকসভার ১৯৮৯ ও ১৯৯১ এমপি ছিলেন । হেমন্ত সরেন সরকারে ২০১৩ মন্ত্রী হন ।সাইমন বাবুর ছেলে দীনেশ ভিলিয়াম মারান্ডি বর্তমানে লিটিপাড়া বিধানসভার এমএলএ ।


প্রতিবেদন - গৌতম চট্টোপাধ্যায়



ফনীশ্বর নাথ রেণু

 গত ১১ ই এপ্রিল, ১৯৭৭ সাল।

প্রয়াত হন পূর্ণিয়া জেলার প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সতীনাথ স্নেহধন্য শ্রদ্ধেয় শ্রী ফনীশ্বর নাথ রেণু।



আজও তাঁর লেখার জনপ্রিয়তা তাঁকে দিয়েছে পাঠক হৃদয়ে বিশিষ্ট স্থান।

তাঁর রচনা শৈলী জীবনের কথা বলে। সৃষ্ট চরিত্রে আমরা দেখতে পাই আমাদের পাশে থাকা চলমান জীবন।

আমাদের উত্তর প্রজন্ম যেন প্রাণিত হয় সাহিত্যে সৃজনে।আজকের দিনটিতে এটাই চাওয়া।

প্রিয় সাহিত্যিক আপনার স্থান আমাদের শ্রদ্ধায়. অন্তর্লীন ভালোবাসায়।


অজয় সান্যাল

প্রয়াত রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক

বাঙলা সংস্কৃতি জগত আজ হারালো বিশিষ্ট রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী মিতা হক কে।

করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। নেগেটিভও হয়ে যায় রিপোর্ট।

তাঁর গান যেন জীবনের কথা বলে। শিল্পী থাকলেন আমাদের সকলের শ্রদ্ধা ও বিনম্রতায়।

অজয় সান্যাল

পূর্ণিয়া শাখা।

প্রয়াত

প্রয়াত কবি পবিত্র মুখাপাধ্যায়

শ্রদ্ধেয় কবি পবিত্র মুখাপাধ্যায় আর লিখবেন না। গত শুক্রবার (৯.০৪.২০২১) সকাল ৭.১৫ মিনিটে

কবি প্রয়াত হলেন। থাকল কালজয়ী রচনা। আমরা সমৃদ্ধ হবো। কবি থাকবেন তাঁর কাজে। সৃষ্টিতে। আমাদের উত্তরসূরী ঋদ্ধ হবে সৃজনে,নির্মাণে।




আমাদের সকলের অন্তরের শ্রদ্ধা জানাই।

সকল বিনম্রতায়, প্রণামে।

অজয় সান্যাল, পূর্ণিয়া শাখা।

বিদ্যুৎ পাল, বি বি মন্ডল, আশীষ ঘোষ, সৌমেন ব্যানার্জী, নারায়ণ চন্দ্র দাস

রক্ত দান

 রক্ত দান

সমিতির পূর্ণিয়া শাখার সদস্য মীনাক্ষী সিন্হা  (শান্তি নিকেতন হাতা, ফ্লাওয়ার মিল রোড ,পূর্ণিয়া) থ্যালাসেমিয়া রোগগ্রস্ত সনু কুমার  (বস বেলি, ড়গরওয়া থানা ,পূর্ণিয়ার ) কে রক্ত দান করলেন বিহার বাঙালি সমিতির পক্ষ থেকে মীনাক্ষী সিন্হা মহাশয়াকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এবং সনু কুমার সুস্থতা কামনা করি





প্রতিবেদন – নারায়ণ চন্দ্র দাস

মাস্ক বিতরণ: ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি, দেওঘর শাখা

ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি, দেওঘর শাখার উদ্যোগে করোনা - ১৯ অতিমারিতে নাগরিকদের সচেতনতা করার অভিযানে মাস্ক বিতরণ।







প্রতিবেদন - বিকাশ মিত্র

নারায়ণ সেবা: ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি, দেওঘর শাখা

প্রতি শনিবারের মত গত  ০৩.০৪.২০২১ এ ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতি,দেওঘর শাখার উদ্যোগে নারায়ণ সেবার আয়োজন করা হয়েছিল। এই মহৎ কাজে সহযোগিতা করার জন্য বিকাশ মিত্র ,কমল মিত্র, অনুপ সিনহা, মৌসুমী মুখার্জি সহ সকল সদস্যদের জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ ।





প্রতিবেদন - পার্থ মুখার্জী

বাংলা ভাষার ধ্রুপদী সম্মান

ধ্রুপদী সন্মানের পেতে হলে সেই ভাষা প্রাচীন সমৃদ্ধ হতে হবে এবং ধারাবাহিকতা বহমান থাকবে। ধ্রুপদী সন্মান পেলে সেই ভাষার জন্য কেন্দ্রীয় বিশ্ব বিদ্যালয়ে"চেয়ার" সৃষ্টি হবে, গবেষণা হবে পুরস্কার থাকবে মোটকথা সেই ভাষা অন্যান্য ভাষার চেয়ে সবদিক থেকে এগিয়ে থাকবে। ভাষা প্রেমীদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে আগষ্ট ২০২০ থেকে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতির তরফে বাংলা ভাষার জন্য ধ্রুপদী সন্মান আদায়ের বিষয়ে বিভিন্ন প্রান্তের নেতা মন্ত্রী বিশিষ্টজন শিক্ষাবিদ গবেষক ভাষা সংস্কৃতি প্রেমী ভাষা সংগঠন,প্রতিষ্ঠান ইত্যাদিকে রেজিস্ট্রারডচিঠি পাঠাই নানা তথ্য সমৃদ্ধ কাগজ পত্র দিয়ে। দুর্ভাগ্য দুই তিন জন ছাড়া সেই অর্থে কারো থেকে মতামত পরামর্শ আদি পাইনি আজো।

আসল কথা,নিয়ম হচ্ছে  রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে তথ্য সমৃদ্ধ দলিল যাতে বাংলা ভাষার প্রাচীনত্ব ঐতিহাসিক নিদর্শন লিপি মুদ্রা পুস্তক আদির তথ্যাদি সম্বলিত পুস্তিকা ভারত সরকারের সংস্কৃতি দফতরে পাঠাতে হয় ধ্রুপদী সন্মান অর্জনের জন্য যা আজ পর্যন্ত হয়নি এ রাজ্য থেকে। যাক্,কাদের কাদের পাঠিয়েছিলাম মূল্যবান চিঠি তার বিবরণ দিলাম:

১. সাংসদ অধীর চৌধুরী, যিনি প্রধানমন্ত্রী ও মূখ্যমন্ত্রী কে চিঠি দিয়েছিলেন।

২. সাংসদ বাবুল সুপ্রিয়।

৩.    " "     দেবশ্রী চৌধুরী।

৪.   " "      সৌগত রায়।

৫     "।  বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য (ইনি আমায় ফোনকরেছিলেন

৬. পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী ।    

৭.        "          শিক্ষামন্ত্রী।

৮.পশ্চিমবঙ্গবাংলাআকাডেমী

৯.       "        কবিতা   ""

১০. বঙ্গীয় সাহিত্য পরিষদ।

১১. জাতীয়    গ্রন্থাগার ।

১২. এশিয়াটিক সোসাইটি।

১৩. রামকৃষ্ণ মিশন ইনস্টিটিউট অব কালচার।

১৪. ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ল্যাঙ্গুয়েজ, কর্নাটক।

১৫.তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর, প:ব:

১৬.কলিকাতা বিশ্ব বিদ্যালয়।

১৭. উত্তরবঙ্গ   "

 ১৮. সাংসদ রাজু বিস্ট।

১৯. কবি শঙ্খ ঘোষ।

২০. পবিত্র সরকার, শিক্ষাবিদ

২১. ডঃ গৌরমোহন রায় (মতামত দিয়েছেন)

২২.বঙ্গরত্ন আনন্দ গোপাল ঘোষ (কথা হয়েছে)

২৩. ডঃ প্রকাশ অধিকারী। (পরামর্শ দিয়েছেন)

২৪.তথ্যসংস্কৃতিদপ্তর, নয়াদিল্লি

 প্রমুখদের জানিয়েছি, কোনো কোনো ক্ষেত্রে দুবার চিঠি দিয়েছি,ফোন কথা বলেছি, ব্যক্তিগত ভাবে দেখা করেছি।

মোটকথা, আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতি ধারাবাহিক ভাবে নজরদারি রাখছে পরিস্থিতির উপর।

সময়ে সময়ে ধ্রুপদী ভাষার উপর লেখা আদি আরো আরো মানুষকে জানাই যাতে ভুল ভ্রান্তি দূর করে আসল সত্যটা জানে, শুধু শুধু মূল বিষয় এড়িয়ে গিয়ে অন্যকে দোষারোপ না করে নিজের দায়িত্ব সচেতন হওয়া দরকার।

ধন্যবাদ সহ 

সজল কুমার গুহ 

সহ সচিব,আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতি, নয়াদিল্লি মুখ্যালয় ও সম্পাদক শিলিগুড়ি শাখা।

(কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার) কার্যালয়ের সাইনবোর্ডে বাংলা সংযুক্তকরণ

 আনন্দ সংবাদ আনন্দ সংবাদ

গত কয়েক বছরে আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতি শিলিগুড়ি শাখার ধারাবাহিক প্রচেষ্টায় শিলিগুড়ি ও আশেপাশের এলাকায় স্থিত নিম্ন লিখিত কার্যালয়ে (কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার) সাইনবোর্ডে বাংলা সংযুক্ত করাতে পেরেছি:-

১.বাগডোগরা বিমান বন্দর ( আংশিক)

২. খন্ড উন্নয়ন আধিকারিক(বিডিও) মাটিগাড়া,(শিবমন্দির)

৩. সেরিকালচার দফতর, শিবমন্দির।

৪. ইন্ডিয়ান অয়েল,মাটিগাড়া

৫.উঃব:বিঙাণকেন্দ্র,মাটিগাড়া

৬. সিপি ডব্লিউ বি,মাটিগাড়া

৭.ওরিয়েন্টাল ইনসিওরেনস,হিল কার্ট রোড

৮. ন্যাশনাল ইনসিওরেনস,"

৯.ক্ষেত্রীয় লেখা কার্যালয়, সেবক রোড।

১০.রক্ষা সম্পদ কার্যালয়,সেবক রোড।

১১/১২.সিপিডব্লিউডি (সিভিল/ইলেকট্রিক্যাল), শিলিগুড়ি

১৩/১৪.ডেপুটি চিপ ইন্জিনিয়ার

(কনস্ট্রাকশন/ইলেকট্রিক্যাল) এনজেপি ( রেল)

১৫.জীবন বীমা নিগম, সেবক রোড।

১৬.ড্রীমল্যান্ডপার্ক, শিলিগুড়ি

       মোটামুটিভাবে এই কয়টি কার্যালয়/প্রতিষ্ঠান/সংস্থার সাইনবোর্ডে বাংলা সংযুক্ত করিয়েছি আমরা, আরও কয়েকটি বিভাগে যেমন:

জাতীয় লেবার কমিশন। এডিজি জিসটি। পি ডব্লিউ ডি 

পি ইউ (জাতীয় সড়ক), ডিজি এম, বিএস এন এল/ মাইক্রোওয়েভ।সেইল,হিলকার্ট রোড ইত্যাদি

কার্যালয়ে এখনও বাংলা যুক্ত হয়নি সাইনবোর্ডে। আন্তর্জাতিক বাংলা ভাষা সংস্কৃতি সমিতির নজরদারি আছে ।

লেগে থাকলে যে হয় আমাদের সাফল্য তাই বলে। সমিতির আরও আরও শাখা এগিয়ে আসুক এই বিষয়ে বিশেষ করে।

ধন্যবাদ সহ, 

সজল কুমার গুহ, সম্পাদক শিলিগুড়ি শাখা।


রক্তদান


 বিহার বাঙালি সমিতির সদস্য হরি কুমার দাস  (পূর্ণিয়া সিটি ) থ্যালাসেমিয়া রোগে গ্রস্ত ব্রজেস ঠাকুর (সিফাহী টোলা) কে o+ রক্ত দিয়েছেন। ব্রজেস ঠাকুরের স্বাস্থ্য কামনা করি এবং হরি কুমার দাস কে সমিতির পক্ষ থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই এই মানবিক কাজের জন্য।

প্রতিবেদন - নারায়ণ চন্দ্র দাস

বর্ণপরিচয়