প্রয়াত সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়

প্রয়াত সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গভীর রাতে ঘুমের মধ্যেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৫৪। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, দীর্ঘ দিন ধরে ডায়াবিটিসে ভুগছিলেন শীর্ষ। গতকাল রাত ১টা পর্যন্ত সোশ্যাল মিডিয়ায় সক্রিয়ও ছিলেন তিনি।


সোমবার রাতেই ফেসবুকে জলরঙে আঁকা কালো আকাশের ছবি পোস্ট করে লিখেছিলে, ‘ওরে ঝড় নেমে আয়।’ এরপর ভোরের দিকে বাথরুমে যান তিনি। কিন্তু দীর্ঘক্ষণ সেখান থেকে না বেরোনোয় সন্দেহ হয় পরিবারের tসদস্যদের। সকালে বাথরুমের দরজা খুলে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করেন মেয়ে। চিকিৎসকরা এসে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

তাঁর প্রথম প্রকাশিত উপন্যাস শার্দূলসুন্দরী। এই উপন্যাস বিপুল জনপ্রিয়তা লাভ করে। এরপর একের পর এক উপন্যাস, ছোটগল্প এবং প্রবন্ধ লিখেছেন তিনি। তাঁর জনপ্রিয় গ্রন্থগুলি হল- স ন্ধ্যা রা তে র শেফালি, ইথারসেনা, জলের ওপর দাগ, রমণীরতন।

সাহিত্যিক ছাড়াও সাংবাদিক হিসেবেও জনপ্রিয় ছিলেন শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়। একাধিক বাংলা দৈনিক সংবাদপত্র, টেলিভিশন চ্যানেল এবং জার্মান রেডিওর বাংলা বিভাগে কর্মরত ছিলেন তিনি। মোট প্রকাশিত গ্রন্থের সংখ্যা ১৪। শার্দূলসুন্দরীর জনপ্রিয়তার কারণে এই উপন্যাসের ইংরেজি অনুবাদও প্রকাশ পেয়েছে। তাঁর মৃত্যুতে বাংলার সাহিত্যজগতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

তাঁর প্রয়াণে কলকাতা প্রেস ক্লাব থেকে শোকবার্তা প্রকাশ করা হয়েছে। শোকবার্তায় লেখা হয়েছে, প্রেস ক্লাব, কলকাতা এই উদীয়মান সাংবাদিক ও সাহিত্যিকের অকাল প্রয়াণে তাঁর পরিবার ও সতীর্থদের আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করছে।

এই লেখাটি প্রয়াত সাহিত্যিক শীর্ষ বন্দ্যোপাধ্যায়ের জীবন ও কাজের পরিচয় জ্ঞাপক।

সকলে শোকস্তব্ধ অকাল প্রয়াণে।

অন্তরের শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই তাঁর স্মৃতির প্রতি।

অজয় স্যানাল

No comments:

Post a Comment

বর্ণপরিচয়