লহ প্রনাম হে বিশ্বকবি
(বিশ্ব কবির ১৬০ তম জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন)
লহ প্রণাম হে বিশ্বকবি তুমি
লহ প্রণাম হে রবিঠাকুর তুমি
লহ প্রনাম আমার
লহ প্রণাম আমাদের সবার
তুমি এত কিছু দিয়ে গেছ আমাদের
তুমি কত কিছু দিয়ে গেছ আমাদের
তুমি দিয়ে গেছ কত সুর কত গান
কত গল্প কত ছন্দ আর শিশিরের আঘ্রাণ
আমরা আজও পারিনি সব গান গাইতে
পারিনি আমরা তোমার সুরে সুর মেলাতে
আমাদের বাড়ির মিনী আজও
নিজেকে খুঁজে পায় নিজেকে খুঁজতে চায় তোমার সেই মিনীর মধ্যে
মনে মনে সে অপেক্ষা করে
কোনো এক কাবুলিওয়ালার
সেই কাবুলিবালার লম্বা ঝুলির
আর সেই ঝুলির ভেতরের
মিনীর জন্যে আনা সেদিনের উপহারের
বিনোদিনী মহেন্দ্র কি বিনয় সুচরিতা
আজও আছে এপাশে ওপাশে আমাদের আনাচে কানাচে
তোমার গল্পের গুচ্ছ কই তাও হয়নি এখনো ভালো করে বোঝা
সমস্ত কবিতা আবৃত্তি করে উঠতে পারিনি আজও আমরা
তবে আজও আবৃত্তিকারের আবৃত্তির প্রথম প্রেম
“প্রানের বাসনা প্রানের আবেগ রুধিয়া রাখিতে নারি”
এযে নির্ঝরের স্বপ্ন ভাঙিয়ে দেওয়া প্রেম
রোমাঞ্চিত হয়ে নতুন প্রজন্মের বীরপুরুষরাও যখন মা শোনান
......“আমি যাছি রাঙ্গা ঘোড়ার পরে টগবগিয়ে তোমার পাসে পাসে...”
......“ছুটিয়ে ঘোড়া গেলেম তাদের মাঝে ঢাল তলোয়ার ঝনঝনিয়ে বাজে...”
প্রজন্ম নির্বিশেষে আজও শিশুরা তোতলায়
“...তালগাছ তালগাছ এক পায়ে দাঁড়িয়ে সব গাছ ছাড়িয়ে উঁকি মারে আকাশে ...”
আর ঘুমন্ত শিশুও ওই মহাকাশে উঁকি মেরে রাত্তিরে তোমাকে খুঁজতে চায়
তোমার সাহিত্য সৃজন আর তার সম্ভার
নানান রঙের সুবাসী পুষ্পের শুধুমাত্র একটি পূজার ডালি যে নয়
এ যে সুবাসী পুষ্পে ভরা এক উপবন
দিব্য এক অঞ্জলিপূর্ণ নিবেদন
গবেষণা চলবে অনন্ত কাল
হে অবিসংবাদি সাহিত্য সম্রাট
তুমি তো উর্ধ্বে সব পরিভাষার
আর আমাদেরও ভাষা কই
তোমায় সঠিক পরিভাষা দেবার
তাই থাক না ব্যতিক্রম
তুমি থাক আমাদের মাঝে এক প্রবাহ হয়ে
এক স্পন্দন এক গুঞ্জন এক প্রবহমান চিন্তন হয়ে
আর প্রবাহ মানে না কোনো সীমানা
তুমি থাক চিরকাল হয়ে এক অন্বেষণ
এক অজানা এক আনকোরা অন্বেষণ
শান্তিনিকেতনের প্রতিটি বৃন্ত আর প্রতিটি পুষ্পের মাধ্যমে
গীতাঞ্জলীর প্রতিটি ছন্দের মাধ্যমে
আমার সোনার বাংলা আমি তোমায় ভালোবাসি
আর জন গণ মনর প্রতিটি মানুষের মাধ্যমে
হে কবিগুরু আজি এ জন্মদিনে লহ অজস্র অভিনন্দন
হে বিশ্বকবি তুমি লহ প্রনাম তুমি লহ প্রণাম
মিলন মিশ্র
"চিত্রদীপ"
উত্তরায়ন , বাঁকুড়া
২৫শে বৈশাখ ১৪২৮
No comments:
Post a Comment