নামকরণ নিয়ে বিভ্রান্তি,
ইতিহাসকে পাল্টানোর চক্রান্ত
দুমকা জেলার শিকারীপাড়া ব্লকের
সাঁতাল জাতি অধ্যুষিত গ্রাম কোলই বাড়ি। কোলই সাঁতালি শব্দের অর্থ খরগোশ। এই নাম
থেকে জানা যায় গ্রামটি উপজাতি অধ্যুষিত। এখানে হিন্দি ভাষীরা কোলই বাড়ি কে কেলাই বাড়ি
বানিয়ে ছেড়েছে। দেওঘর জেলার পালাজুড়ি ব্লক হেড কোয়ার্টার। রাঁচি থেকে প্রকাশিত
দৈনিক বাংলা সংবাদ পত্রে লেখা হচ্ছে পলোজোরি, এই শব্দের কোন শাব্দিক অর্থ খুঁজে পায়নি ।তবে এটা খুব স্পষ্ট
যে বাঙালি অধ্যুষিত পালাজুড়ির নামকে বিকৃত করা হয়েছে। কোলকাতা থেকে প্রকাশিত একটি
বহুল প্রচারিত বাংলা সংবাদ পত্রে পাটনা কে পটনা লেখা হয়। ওই পেপারের সম্পাদকের
কাছে পাটনা কে পটনা লেখার কারণ জানতে চাইলে বলেছেন সেখান কার লোকে পটনা বলে,
তাই পটনা লেখা হয়। তবে কোলকাতার অন্য বাংলা সংবাদ পত্র গুলিতে পাটনা
লেখা হয়। বাল্য বিধবা বিবাহের প্রবর্তক মহান সমাজ সংস্কারক পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র
বিদ্যাসাগরের কর্মভূমি জামতাড়া জেলার কারমাটাড় এর বিদ্যাসাগর নামকরণ করা হয়েছে।
রেল স্টেশন এর নাম বিদ্যাসাগর স্টেশন, সেখান কার খোট্টা ভাষী
সাধারণ মানুষ বিদিয়া সাগর স্টেশন বলে। গ্রেটার মানভূমের ধানবাদ কে হিন্দি ভাষীরা
ধনবাদ বানিয়ে ছেড়েছে। তাহলে কি ভবিষ্যতে ওই বাংলা সংবাদ পত্র বিদ্যাসাগর কে বিদিয়া
সাগর, ধানবাদ কে ধনবাদ লিখে এখান কার বাঙালি অধ্যুষিত এলাকার
ইতিহাস কে পাল্টে দেবে? ভাষা সৈনিকদের বিষয়টি নিয়ে চিন্তা
করা উচিত।
No comments:
Post a Comment