সঞ্চিতা ব্লগ

সঞ্চিতা ব্লগ

         ২রা জুলাই ২০২০ থেকে সঞ্চিতা পত্রিকার এই ব্লগ শুরু করতে পেরে, আমরা আনন্দিত। শ্রী বিদ্যুৎ পাল মহাশয়ের সহযোগিতা ছাড়া কম্পিউটার সম্ভন্ধে কোন কাজই সম্ভব না। উনিও এর সাথে যুক্ত আছেন।

         ডা০ (ক্যাপ্টেন) দিলীপ কুমার সিনহা, সভাপতি, বিহার বাঙালি সমিতি, সমিতির প্রতিটি নতুন কাজেই তাঁর উৎসাহ। তাঁর সেন্স অফ হিউমার আমাদের প্রেরণা জোগায়।

         বিদ্যাসাগর দ্বিশতজন্মবাষিকী চলছে। তাই এ বিষয়ে লেখা পাঠানোর আহ্বান জানাই।

         সঞ্চিতা পত্রিকার পৃষ্ঠা সংখ্যা মাত্র ৮ পাতার। এটি মাসিক পত্রিকা। তাই ইচ্ছে থাকলেও বহু খবর প্রকাশিত করতে পারি না। তাই এই প্রচেষ্টা। সঞ্চিতা বিহার বাঙালি সমিতি সহ বহির্বাঙলার বাঙালিদের মুখপত্র হিসাবে প্রকাশিত হয়।

        এই ব্লগে বহির্বাঙলার খবর ও সাহিত্য সহ সঞ্চিতা পত্রিকার পৃষ্ঠপোষক ও শুভানুধ্যায়ীদের রচনাকে প্রাধান্য দিতে সচেষ্ট থাকব। রচনা ও সংবাদ  sanchitablog@gmail.com  মেলে পাঠাতে অনুরোধ জানাই।

        এই দিনেই বিহার বাঙালি সমিতির ইউটিউব চ্যানেল (Bengalee Association Bihar) শুরু করা হয়েছে।

 

বিনীত

 

সুনির্মল দাশ

সম্পাদক, সঞ্চিতা

ও সাধারণ সম্পাদক

বিহার বাঙালি সমিতি

কাজী নজরুল ইসলামের জন্মদিনে শ্রদ্ধার্ঘ্য

নিসার  আমিন, জামসেদপুর

 দুখু ঠাকুর এবং ঈদ ফসল

 একটি মাস ফসল ফলানোর কসরত

 আজ কাটার দিন

 ফিরনি গোশত সেমাইয়ের হাসিহাসি লজ্জত

 দেব না ধর্ম পুরোহিতের হাতে

 বরং নিত উপোসীর পাত পড়ুক ছন্দে

 ছলকে ছলকে উঠুক টায়রার বোল

 

 দূরত্বে থাকো মানে দূর হও তো নয়

 ভাবনা ঘরের দরজা তো চিরকাল খোলা

 সাগর এবং পিপাসা নিয়ে রস হীন বার্তালাপে

 ঢেলে দেওয়া যাক মাহফিল আর মুজরার  আমোদ

 দূরে সরে গেলেও  আবার ফিরে আসি

 শিউলিতলার মেয়েটির কাছে

 হাতের তালুতে মেহেন্দি সুবাসে  আঁকিয়ে নেব

 সওয়াল মাসের চাঁদপানা মুখ

 হে মহাপ্রেমিক কবি মূর্তিমান বিদ্রোহ

 আজ আপনার জন্মদিন কোলাকুলি করছে ঈদ শিশুর সাথে

 এবং রমজান পতাকায় বিশ্ব শান্তির উড়ন

************


বুকের মাঝে নজরুল

আশীষ ঘোষ, কিশনগঞ্জ।

তোমাকে যে নামেই ডাকি

জানি তা সম্পূর্ণ নয় ।

ভেবেছি  তোমাকে আশ্রয় করে উত্তীর্ণ হব কিন্তু পথ হারিয়েছি বার-বার।

উৎস খোজার নেশায়

অতলে ডুব দিয়ে শুধু

কিছু মুক্তো পেয়েছি,

অবিনশ্বর নদী রয়ে গেছে অচেনা।

স্বপ্ন মাখা ও চোখে কি করে

জ্বেলেছো এত আগুণ,

ধারণ করেছ বাঁশিতে বিষাণ

বীণার সুরে বহ্নি-মন্ত্র?

ভীত শঙ্কিত চিত্ত নির্ভীক

আত্মবলে বলিয়ান সৈনিক।

হঠাৎ ঝড়ে দিশেহারা

ধুমকেতু পথ ভোলা।

জানিনা কোন অভিমানে

নিরব হলে হে চির বিদ্রোহী ?

চুরুলিয়ার দুখু মিয়া

বুকের মাঝে বাস তোমার ।।

            ****

কবি প্রণাম

চিত্তরঞ্জন শর্মা, কিশনগঞ্জ।

সে যে বিদ্রোহী বীর,

আজি স্মরণ করিয়েছ তাঁরে,

যারে আর খুঁজিয়া নাহী পাই -

দিশেহারা হয়ে খেই যে হারাই।

তাহার অসংখ্য লেখালেখি,

যা আছে রাখা, করি পরিপাটি,

তা আজও সত্যচিরদিনের খাঁটি-

কেবল মাথা কুটে-করি ঘাঁটাঘাঁটি।

জীবনে যে বিদ্রোহী - নত করোনিকো শির,

চিত্ত যাহার ভয় শূন্য -

হৃদয় গম্ভীর।

তার কথা শুনি, বুকে জাগে আশা,

প্রকাশের তরে নাহী মোর ভাষা।

ওগো কে তুমি দিলে ছোঁওয়া, তারিই বাঁশির গানে,

নুতন জোয়ার তাই

এল যেন প্রানে,

পাষানের তুমি ভাঙাইলে ঘুম,

তাই কি চারদিকে মাতিয়াছে ধূম।

তাঁরে আজি এই শুভক্ষনে,

শ্রদ্ধা প্রনাম জানাই জন্মদিনে।।

***********


কানে কানে কথা

তৃষা পাল, পাটনা   

-------ভাই, এই ভাই। আমার কথা শুনতে পারছিস।

----শুনতে পারছি ভাই। আজ পর্যন্ত তো তোর কথা ই শুনে আসছি কিন্তু তোকে দেখতে তো পাই নি  কি অদ্ভুত কথা তাই না ভাই। জন্ম নিলাম এক সাথে বড় হচ্ছি এক সাথে, সুখে দুঃখে এক সাথেই আছি কিন্তু কেউ কাউকে দেখতে পাই না।

আমরা যমজ ভাই কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য আজ পর্যন্ত আমরা একে অপরকে দেখিনি। জানিনা ,কোন অভিশাপের ফলে আমাদের দুজনকে ভগবান মাথার বিপরীত দিকে বসিয়ে দিয়েছেন। শুধু এটুকুই দুঃখ যে আমাদের কেবল শোনার অধিকার আছে, তা সে গালমন্দই হোক অথবা  আশীর্বাদই হোক সবই আমাদের শুনতে হয়।

--------ঠিক বলেছিস ভাই।

সেই ছোটবেলা থেকেই দেখছি আমাদের সাথেই যত অন্যায় অবিচার।

সবাই শরীরের প্রতিটি অঙ্গের প্রশংসায় পঞ্চমুখ ।আহা কি সুন্দর চোখ, কি সুন্দর ঠোঁট, কি সুন্দর নাক ।কই একবার ও তো বলে না আহা কি সুন্দর কান। এক বার ও মনে হয় না আমাদের ও একটু প্রশংসা পাওয়া উচিত কিন্তু নিন্দে করতে বলো অমনি এক বাক্যে সবাই বলবে, কুলোর মত কান। এই হলো আমাদের প্রাপ্তি । কিন্তু যত কাজের দায়ভার সে বেলা সব সময় আমরা দুটো জমজ ভাই আছি। সেই ছোটবেলা হাত বা পা অন্যায় যেই করুক, গুরু মশাই আমাদের দুই ভাই কে হির -হির করে টেনে মুছড়িয়ে  যন্ত্রনা দিয়ে  তবে নিস্তার দিতেন। কেন রে ভাই ? অন্যায় করবে অন্যরা আর কষ্ট দেওয়া হবে আমাদের দুজন কে।

--------ঠিক বলছিস ভাই। চোখ নিজের কাজ ঠিক মত করতে পারছে না, চশমার গুরুভার আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া হল। চশমার ফ্রেমের ডাঁটি আমাদের উপর এনে রাখা হল। এই যন্ত্রনাও আমরা সাইলাম।

-----দেখ ভাই! চশমা তো চোখের সমস্যা। এর মধ্যে আমাদের টেনে আনার কি দরকার ছিল?

----ভাই রে দুঃখের আরো ও অনেক কিছুই আছে।।

বেআক্কেলে মহিলারা, তোরা সাজ না, যত খুশি সাজ কিন্তু আমাদের কে কষ্ট দেওয়া কেন? একে তো আমাদের দুজনের পেটে একখানা করে ফুটো করে দেবে ছোট্টবেলা। তারপর থেকেই অত্যাচার শুরু। তার কি আর শেষ আছে। ইয়া বড় বড় একখানা করে দুল ঝুলিয়ে দেবে আমাদের পেটের ফুটোয়। তারপর সে কি ঝাকুনি।  তোরা সুন্দর হবি, তোরা প্রশংসার পাবি   কিন্তু আমাদের দুই ভাই কে নিয়ে  টানাটানি কেন ? বেআক্কেলে যত সব। করবে তো  সবাই মুখশ্রীর প্রশংসা।

সাধে কি আমি রাগ করছি, আরও দেখ, চোখের জন্য কাজল, মুখের জন্য ক্রিম, ঠোঁটের জন্য লিপিস্টিক কিন্তু আজ পর্যন্ত আমরা কি কিছু চেয়েছি? বল ভাই।

কবিরা সবসময় চোখ, ঠোঁট, গাল ইত্যাদির প্রশংসা করেন কিন্তু আমাদের no প্রশংসা।

কাকে আর  বলি!  অনেক দুঃখের কথা বলার আছে কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের। ভগবান আমাদের বলার অধিকার দেননি। যদি বলতে পারতাম মনটা হালকা হত।

ব্রাহ্মণ এর পৈতা, দর্জির পেন্সিল, মিস্ত্রির গুটখার পুরিয়া সবই আমরা সামলাই। এরপর মানুষ মোবাইলের যন্ত্র আমাদের ফুটোয় ঢুকিয়ে দিয়ে একেবারে জীবনটা ঝালাপালা করে দিচ্ছে।

আজকাল একটা নতুন ঝঞ্ঝাট এ পড়েছি। মাস্কের ফিতে দিয়ে আমাদের বেঁধে রাখা হচ্ছে। আমাদের অস্তিত্ব শুধুমাত্র খুঁটিতে ( hanger) পরিণত হয়ে গেছে। 

কি করবি রে ভাই সব ই আমাদের অদৃষ্ঠ।  আমাদের সাথে ঘোর অবিচার হয়ে যাচ্ছে ।গলা ব্যাথা যেই হবে অমনি হতচ্ছাড়া ডাক্তার ইয়া বড় টর্চের আলো দিয়ে আমাদের পেটের ভিতরে কি যে দেখে, কি যে খোঁজে বুঝে পাই না বাবা। আমাদের  কে নিয়ে কেন টানাটানি।

-----  জানিস ভাই, একেক বার আমার মনে কি হয় জানিস?

মনে হয় আমরা দুই ভাই চিৎকার করে বলি,

আরও কিছু লটকাবার থাকলে নিয়ে আসুন। আমরা তৈরি।

কিন্তু এখানে ও ঠাকুর আমাদের সাথে অবিচার করেছেন। চিৎকার করে বলতে ও পারবো না। সব কিছু দেখবো, শুনবো, যন্ত্রনা অনুভব করব কিন্তু বলতে কিছুই পারবো না

-----শোন ভাই একটা সান্তনা তোকে দি। আমি আর তুই সব সময় এক সাথে থাকবো এক সাথে বাঁচবো এক সাথে মরবো। নিন্দুকের যতই নিন্দে করুক। ভালো থাকিস ভাই।

-----তুই ও ভালো থাকিস। টাটা..............

 

ডাক্তার বিধান রায়

অজয় স্যানাল, পূর্ণিয়া

 

আজ পয়লা জুলাই। ডাক্তার বিধান রায়ের জন্মদিন। একই দিনে চলেও গিয়েছিলেন। আজ ডক্টর্স ডে।

পূর্ণিয়ায় আমাদের কয়েকজনের সৌভাগ্য হয়েছিল নভেম্বর ২০১৭ য় এই বিরাট ব্যক্তিত্বর পাটনার বাড়িতে থাকা,রাত কাটানোর।আমরা নীচ তলায় ছিলাম। ওপরে ডাক্তার রায়ের থাকার,পড়ার ঘর। তাঁর ব্যবহৃত কিছু ফার্নিচার এখনো আছে। ওঁদের বাড়িতে অনেক আত্মীয় স্বজন আসতেন। অনেক সাহায্যপ্রার্থীরা আসতেন। তাঁরা থাকতেনও। ডাক্তার বাবুর মা অঘোর কামিনী দেবী রাতে তাঁদের শোওয়ার জন্যে নিজেদের ঘর,বিধান রায়ের ঘর ছেড়ে দিতেন। বিধান তুমি নীচে গিয়ে শোবে। ছোট্ট বিধানের রাগ হত। কিন্তু মায়ের নির্দেশ অমান্য করার প্রশ্ন ছিল না। এরকম অনেকবার হয়েছে। এর মধ্যেই বড় হয়ে ওঠা।বড় মাপের হয়ে ওঠা।

আজকের দিনে ২০১৭ র সেই দিনটির কথা মনে হচ্ছে।আপনাদের সঙ্গে ভাগ করে নিলাম রোমান্চের স্মৃতিটুকু।ওঁর জীবনে কত যে ঘটনা। একটা বলি। প্রখ্যাত ব্যায়ামবীর কমল ভান্ডারী চাকরি পেয়েছেন আনন্দবাজার স্পোর্টস বিভাগে। শ্রদ্ধেয় বিষ্ণুচরণ ঘোষের সঙ্গে গিয়েছেন দেখা করতে মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার বিধান রায়ের সঙ্গে।কমল ভান্ডারীকে বল্লেন এত সুন্দর চেহারা আর তুমি রিপোর্টারের কাজ করবে?তুমি পুলিশের চাকরি করবে। তোমার ডিউটি খুব হাল্কা হবে সেটা আমি বলে দেব। তুমি ব্যায়াম করবে। সাপ্তাহিক রেশন ফ্রি।কমল ভান্ডারী পরে এসিসটেন্ট কমিশনার হন। ওঁর কাজ ছিল মুখ্যমন্ত্রীকে Piloting করে বাড়ি থেকে মহাকরণে নিয়ে যাওয়া। একদিন মহাকরণে পৌঁছে দিয়েছেন কিছুক্ষণ পরে খবর পেলেন মুখ্যমন্ত্রী কমলদাকে ডাকছেন।চিন্তা হল কিছু কি ভুল হয়েছে। কমলদাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি পিঠের ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছ? কমলদা বল্লেন পিঠে ভীষণ ব্যাথা হচ্ছে তাই কয়েকমাস হল পিঠের ব্যায়াম করা ছেড়ে দিয়েছি। দিন তিনেক পর মহাকরণে ওঁকে পৌঁছে দিয়ে দেখলেন পোর্টিকোতে চিফ সেক্রেটারি,পি ডব্লু ডি সেক্রেটারি অপেক্ষা করছেন। গাড়ি থেকে নেমে ডাক্তার রায় ওঁদের জিজ্ঞেস করলেন হয়েছে ? ওঁরা সম্মতি সূচক ঘাড় কাৎ করে হ্যাঁ বল্লেন। ডাক্তার রায় দৃঢ় পদক্ষেপে এগিয়ে গেলেন Sergeants room এর দিকে।পেছন পেছন কমলদা এসে দেখছেন এ দেয়াল থেকে ও দেয়াল পর্য্যন্ত লোহার রড টাঙানো।ডাক্তার রায় ধুতিকে মালকোচার মতন পড়ে ফেল্লেন।বল্লেন ওহে এই ভাবে ব্যায়াম করবে পিঠে ব্যথা হবে না। বিষ্টুকে বলে দিও আমি দেখিয়ে দিয়েছি। ভারতশ্রী কমলদা সারা জীবন ডাক্তার রায়ের দেখানো ব্যায়ামের পদ্ধতি অনুসরণ করে গেছেন।

আমার মনে এই ঘটনা গভীর রেখাপাত করেছে। ছোটবেলায় স্কুলে পড়েছি Sharing is joy. আপনাদের সকলের সঙ্গে তাই ভাগ করে নেওয়া।

আমি আমাদের অন্তরের গভীর শ্রদ্ধা ও প্রণাম জানাই পুরোধা ব্যক্তিত্ব ডাক্তার বিধান চন্দ্র রায়কে।

আসুন সকলে ইতিবাচক মানসিকতায় জীবনকে গ্রহণ করি। সুস্থ থাকি।

*********

 

আজ সেই ঐতিহাসিক দিন: ৪ ঠা জুলাই।

অজয় স্যানাল, পূর্ণিয়া

আমরা পড়েছি রবীন্দ্রনাথকে জিজ্ঞেস করেছিলেন রমা রল্যাঁ আমি তোমার দেশ ভারতবর্ষকে জানতে চাই।কিভাবে জানব ?’ রবীন্দ্রনাথ রল্যাঁকে তাঁর প্রশ্নের উত্তরে যা বলেছিলেন সেটাও ঐতিহাসিক।বলেছিলেন ভারতবর্ষকে জানতে হলে বিবেকানন্দকে অধ্যয়ন করো।বিস্মিত রল্যাঁ বলেন কেন ?’

বিশ্বকবি রল্যাঁকে বলেছিলেন ‘Study Vivekananda. Because in Him everything is positive and nothing negative.’

রল্যাঁ শুধু বিবেকানন্দকে গভীর অধ্যয়নই করেন নি। আমাদের জন্যে লিখেছেন Life of Vivekananda. কি অসাধারণ বিশ্লেষণ স্বামীজীর জীবন ও কাজের। খুব সৌভাগ্য কলকাতায় রবীন্দ্র সদনে স্বামী পূর্ণাত্মাননন্দ মহারাজের এক ঘন্টার বক্তৃতা শুনি।মহারাজের বাগ্মীতার কোন তুলনা হয় না।উনি প্যারিসে গিয়ে সেই হোটেলে যান যেখানে বিবেকানন্দ থেকে ছিলেন। পূর্ণাত্মানন্দ মহারাজ হোটেলের যুবক রিশেপসনিস্ট কে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি জান এই হোটেলে স্বামীজী ছিলেন?’ প্রশ্ন শুনে সে চমকে উঠে দাঁড়িয়ে ছিল নিজের জায়গা ছেড়ে। বলেছিল দেখুন আমার হাতের লোম দাঁড়িয়ে গিয়েছে।চলুন স্বামী আপনাকে আমাদের হোটেলের সেই ঘরটি দেখাই যে ঘরে বিবেকানন্দ ছিলেন।পূর্ণাত্মানন্দ অবাক হয়ে যান ফরাসী যুবক রিসেপসনিস্টের প্রতিক্রিয়া স্বামী বিবেকানন্দর নাম শুনে। আমার মনে হয় বিবেকানন্দ চলে যান নি।চলে গেছে তাঁর শরীরের অবয়বটুকু। তিনি বেঁচে আছেন তাঁর অনন্ত শক্তিতে তাঁর কাজে তাঁর বিশ্ববিস্তৃত ব্যাপকতায়। সাইক্লোনিক মঙ্ক বলেছেন আমি যে সম্পদ দিয়ে গেলাম তোমাদের তার স্থায়িত্ব আগামী ১৫০০ বছর।বলেছেন ‘They only live who live for others.’

আজকের এই বিশেষ দিনে মনে হচ্ছে ঐ তো অগ্রপথিক আজও আমাদের পথ নির্দেশ করছেন। হাতে তাঁর জ্বলন্ত মশাল। দৃপ্ত কন্ঠ পরিষ্কার শোনা যাচ্ছে

‘Arise, Awake and Stop not till the goal is reached.’

 


No comments:

Post a Comment

বর্ণপরিচয়