বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী অনুষ্ঠান
নিউ গড়িয়া সমবায় আবাসনের আবাসিকদের সংগঠন 'নিউ গড়িয়া গণতান্ত্রিক বাইশে আগস্ট কমিটি ২০০৪' বিদ্যাসাগরের দ্বিশততম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এক বিশেষ কর্মসূচী গ্রহণ করেছিল। নবীন প্রজন্মের আবাসিকরা যাতে বিদ্যাসাগর চর্চায় আগ্রহী হন, তাই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়েছিল। নবীন প্রজন্মের আবাসিকদের তিনটি বিভাগে ভাগ করে নেওয়া হয়েছিল। প্রথম বিভাগটি ১৬ বছর বয়স পর্যন্ত, দ্বিতীয় বিভাগটি ১৬+ থেকে ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত, এবং তৃতীয় বিভাগটি ২৫+ থেকে ৪৫ বছর বয়স পর্যন্ত। প্রতি বিভাগে কিছু প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়েছিল, এবং বিদ্যাসাগরকে নিয়ে নির্দিষ্ট বিষয়ভিত্তিক রচনা লিখতে হয়েছিল।
বিভাগ-'ক'।। প্রথম- ঈশান চ্যাটার্জী।। |
বিভাগ-'ক'।। দ্বিতীয়- সমৃদ্ধি দেবনাথ।। |
বিভাগ-'ক'।। তৃতীয়- অরিত্র মুখোপাধ্যায়।। |
বিভাগ-'খ'।। প্রথম- সৌমিলি ভট্টাচার্য্য।। বিভাগ-'খ'।। দ্বিতীয়- রোহন সেন।। বিভাগ-'খ'।। দ্বিতীয়- অনন্যা মহাপাত্র।।
বিভাগ-'গ/ক'।। প্রথম- জয়শ্রী মৈত্র।। |
অতিমারী পরিস্থিতিতে
প্রতিযোগিতা ব্যক্তিগতভাবে উপস্থিত হয়ে
করা সম্ভব নয় বলে,
প্রশ্নপত্র বাড়িতে দেওয়া হয়েছিল। এইভাবে বিদ্যাসাগর-চর্চার মাধ্যমে নবীন প্রজন্ম
নতুনভাবে বিদ্যাসাগরকে চিনবেন, এটাই আশা ছিল।
বিভাগ-'গ/ক'।। দ্বিতীয়- দেবাঙ্গনা ঘোষাল।। |
বিভাগ-'গ/ক'।। তৃতীয়- সুচেতা রায়।। |
অতিমারীর কারণে প্রশ্নপত্র বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছিলেন কমিটির সদস্যরা। উত্তরপত্রও সেভাবেই সংগৃহীত হয়েছিল। বিভাগ “ক” তে ২৪ জন প্রতিযোগী, বিভাগ “খ” তে ৩৩ জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। “গ” বিভাগকে আবার দুটি ভাগে ভাগ করা হয়েছিল। বিভাগ “গ"-এ, এবং বিভাগ “গ”-বি। এই দুই বিভাগে যথাক্রমে ২৯ এবং ৩২জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিশিষ্ট আবাসিকরা উত্তরপত্র মূল্যায়ন করে সক্রিয় সহায়তা দান করেছেন। বিশেষ উল্লেখের বিষয় এই যে, ১১৮ জন প্রতিযোগীর মধ্যে ৭৮ জন মহিলা, যা বিদ্যাসাগরের নারীশিক্ষা প্রয়াসের জ্বলন্ত উদাহরণ।
বিভাগ-'গ/খ'।। দ্বিতীয়- অভিষেক সরকার।। বিভাগ-'গ/খ'।। প্রথম- রত্নাশ্রী দেব।।
আজ, ২৬শে সেপ্টেম্বর, বিদ্যাসাগরের জন্মদিনে অতিমারী বিধি মেনে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়, যেখানে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। সফল প্রতিযোগীরা তাঁদের শংসাপত্র গ্রহণ করেন এবং প্রতি বিভাগের প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় স্থানাধিকারীরা তাদের পুরস্কার গ্রহণ করেন। এই উপলক্ষ্যে বিদ্যাসাগরকে শ্রদ্ধা জানানোর জন্য একটি ভিডিও কোলাজ নির্মিত হয়েছে যার বিষয় ভাবনা শ্রী অমিত দাস মহাশয়ের, কারিগরী ভাবনা নবীন প্রজন্মের এবং সামগ্রিক নির্মাণের দায়িত্বে আবাসনের পরিচালন সমিতির সদস্যা ড. ঝর্ণা রায়। কমিটির সকলের অক্লান্ত পরিশ্রমে অনুষ্ঠানটি সাফল্যমন্ডিত হয়, তবে আহ্বায়ক ড. সত্যরঞ্জন বিশাল তাঁর সক্রিয় ভূমিকার জন্য বিশেষ প্রশংসার দাবী রাখেন। 'নিউ গড়িয়া গণতান্ত্রিক বাইশে আগস্ট কমিটি ২০০৪' এর সভাপতি ডাঃ কমল কৃষ্ণ মাইতি ও সম্পাদক ড. অম্বিকেশ মহাপাত্র সমগ্র অনুষ্ঠানটির সুচারু সম্পাদনার কারিগর।
বিভাগ-'গ/খ'।। তৃতীয়- রুম্পা ব্যানার্জী।।
বাঙালি মনীষার মধ্যে বিদ্যাসাগর তত চর্চিত নন। এইরকম অনুষ্ঠান সেই অচর্চিত ধূলার আস্তরণ সরিয়ে বিদ্যাসাগরের চরিত্র আবার দীপ্যমান করে তুলবে, এই আশা রাখি।
প্রতিবেদন – ডঃ অম্বিকেশ মহাপাত্র
খুব-ই ইতিবাচক অনুষ্ঠান হয়েছে। আগামী প্রজন্মের মধ্যে দিয়েই বিদ্যাসাগরের চিন্তাধারার বিকাশ ও সামাজিক পরিবর্তন হোক, তবে আপনাদের/আমাদের প্রচেষ্টা সার্থক হবে।
ReplyDelete