ভারত সেবাশ্রম সংঘ: দুমকা শাখা
স্বামী প্রণবানন্দ বিদ্যা মন্দিরে
সাগুন সোহরায় পার্বন
সাঁতাল জাতিগোষ্ঠীর মহান পার্বন বান্দনা কে সোহরায় পার্বন বলা হয়। বর্তমানে
সোহরায় পার্বন সর্ব ধর্ম সমন্বয়ে রূপ নিয়েছে। দুমকা শহর থেকে ৪৫ কিলো মিটার দূরে
পশ্চিম বঙ্গের বীরভূম লাগোয়া পাথরার স্বামী প্রণবানন্দ বিদ্যা মন্দিরে সাড়ম্বরে
পালিত হল সোহরায় পার্বন। সাঁতালদের প্রথাগত প্রদ্ধতিতে আশ্রমের স্বামী নিত্যব্রতা
নন্দ মহারাজের পৌরাহিত্যে নায়কি, পারানিক, গুড়ুম নায়কি গোট
পূজা করেন। সেই সঙ্গে এখানে আবাসিক বিদ্যালয়ের ছাত্রী ছাত্র সাঁতালী নৃত্য, গান পরিবেশন করে। স্কুলের কচি কাঁচা ছাত্রের কবিতা পাঠ করে
আলাদা মাত্রা এনে দেয়। অনুষ্ঠানে জাতীয় শিক্ষক সম্মানে সম্মানিত অবকাশ প্রাপ্ত
শিক্ষিকা ভারতী চট্টোপাধ্যায়, বকুল মুখোপাধ্যায়, সচ্চিদানন্দ
সরেন, চঞ্চল পান্ডা, ফিলিপ সরেন, আকিল পাওরিয়া, চিত্রকার প্রসেনজিৎ
মাল অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। সচ্চিদানন্দ বাবু জানিয়েছেন ১৮৫৫ সালের সাঁতাল বিদ্রোহের
পর ওই বছর ২২ ডিসেম্বর ইংরেজ বীরভূম জেলা’কে খণ্ডিত করে সাঁতাল পরগনা স্বতন্ত্র
জেলা ঘোষণা করে। ওই বিদ্রোহে বহু সংখ্যক আন্দোলনকরি ইংরেজের গুলিতে শহীদের মৃত্যু
বরণ করে। সেই বছর এখান কার অধিবাসীরা সোহরায় পর্ব উদযাপন করেনি। পরে এখানে
জানুয়ারি মাসে সোহরায় পর্ব উদযাপন শুরু হয়। ওই বিদ্রোহের পূর্বে কার্তিক মাসে
পার্বন উদযাপন করা হত। দেশের অন্য রাজ্যে কার্তিক মাসেই উদযাপন করা হয়। আশ্রমের
স্বামী জি বলেছেন এই পার্বন টি মূলত প্রকৃতির উপাসক সাঁতালদের পার্বন। বর্তমানে
বিভিন্ন ধর্ম ও ভাষা গোষ্ঠীর সাধারণ মানুষ সোহরায় পর্ব উদযাপন করে।
প্রতিবেদন – গৌতম চট্টোপাধ্যায়
No comments:
Post a Comment