প্রয়াত গোপাল চন্দ্র লালা

 বাংলা একাডেমি ঝাড়খণ্ডের সহ সভাপতি গোপাল চন্দ্র লালা ৮২ বছর বয়সে চিরতরে জন্য ঘুমের দেশে চলে গেলেন ।বাহির্বঙ্গে বাংলা ভাষা, সাহিত্যের একনিষ্ঠ কর্মী ছিলেন গোপাল বাবু । ২০০০ সালে ঝাড়খন্ড স্বতন্ত্র রাজ্য প্রতিষ্ঠা হয় ।সেই সময় কেন্দ্র, বিহার ও নব গঠিত ঝাড়খন্ড রাজ্য কে নিয়ে গঠিত হয় ঝাড়খন্ড বিষয়ক ত্রিপাক্ষিক সমিতি । ওই সমিতি সিদ্ধান্ত নেয়, অবিভক্ত বিহারে যেসব নিয়ম ও সুবিধা চালু আছে সেগুলি নব গঠিত ঝাড়খণ্ডে বলবৎ থাকবে । সেই সুবাদে এখানে বিহারের আদলে বাংলা একাডেমি গঠন করা উচিত ছিল ।সেই সময় চক্রান্ত চালিয়ে এক শ্রেণীর আমলারা স্থানীয় এমএলএ ও মন্ত্রীদের কাঁধে ভর করে বাংলা একাডেমি গঠনের প্রস্তাবটি হিমঘরে পাঠিয়ে দেন । সেই সময় অর্ধেন্দু সেন, গোপাল চন্দ্র লালা ও রাঁচির বিশিষ্ঠ নাগরিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, লেখক, কবি মিলে নিজেদের প্রচেষ্টায় গড়ে তোলেন বাংলা একাডেমি ঝাড়খন্ড । বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি, ঝাড়খণ্ডের স্টেট সেক্রেটারি ও বাংলা একাডেমি ঝাড়খণ্ডের আজীবন সদস্য গৌতম চট্টোপাধ্যায় ,একাডেমির সম্পাদক মৃগেন্দ্র বিশ্বস ,পূর্ব সহ সভাপতি ডা  গণেশ প্রাসাদ বসু মল্লিক, ঝাড়খন্ড বাঙালি সমিতির সভাপতি বিদ্রোহ মিত্র, ডোরান্দা কলেজ রাঁচির অধ্যাপক ও সাহিত্যিক ড. গৌতম মুখার্জি, জাতীয় শিক্ষক সম্মানে সম্মানিত অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ভারতী চট্টোপাধ্যায় ও লেখক-কবি রাজকুমার সরকার , গোপাল বাবুর প্রয়ান কে রাজ্যের ভাষা সংস্কৃতির উন্নয়নে অপূরণীয় ক্ষতি বলেছে ।



No comments:

Post a Comment

বর্ণপরিচয়