নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস

নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোস

আজ ১৮ আগস্ট সকাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়াতে নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের প্রয়াণ দিবস দাবী করে প্রচার চলছে। জে এম এম নেতা ও মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সরেন, বিজেপির নেতা ও পূর্ব মুখ্যমন্ত্রী রঘুবর দাস, এম এল এ সমীর মহন্ত, জামশেদপুর পশ্চিমের সংখ্যালঘু মোর্চার কর্মকর্তা হিদায়তুল্লা খান সোশ্যাল মিডিয়াতে নেতাজীর প্রয়াণ দিবস দাবী করে সর্ব সাধারণ কে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এই কর্মকর্তারা ১৯৪৫ সালের আজকের দিনে জাপানের তাইহুকু বিমান বন্দরে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর ঘটনার প্রচার চালালেন। 


দেশের প্রথম প্রধানমন্ত্রী পন্ডিত জহরলাল নেহেরু, বিশ্ব বরেণ্য নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বোস’কে জীব্বদশায় যমালয়ে পাঠিয়ে সিংহাসন দখল রাখার পাকাপাকি ব্যবস্থা করেছিলেন। নেহেরুজী নেতাজীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে দুইটি কমিশন গঠন করেন। সাহনাবাজ কমিশন ও খোশলা কমিশন। সাহনাবাজ ও খোশলা দুইজনই আজাদ হিন্দ ফৌজ এর সৈনিক ছিলেন। বিশ্বের ইতিহাসে এটি একটি নজিরবিহীন সিদ্ধান্ত। কোন দেশে সৈনিককে কমিশনের অধ্যক্ষ করা হয়না। ওই দুইটি কমিশনের রিপোর্টে বিমান দুর্ঘটনায় নেতাজীর মৃত্যুর কথা বলা হয়। তবে মিস্টার নেহেরু নেতাজীর মৃত্যুর উদ্ভট সিদ্ধান্তকে ঘোষণা করার সাহস পাননি। পরে প্রধানমন্ত্রী মুরারজি দেশাই ওই দুইটি কমিশনের মনগড়া রিপোর্ট খারিজ করে দেন। প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ী নেতাজীর মৃত্যু রহস্য নিয়ে গঠন করেন মুখার্জি কমিশন। ওই কমিশনের রিপোর্টে বিমান দুর্ঘটনার দাবিকে খারিজ করে দেন। মুখার্জি কমিশনের রিপোর্টে বলা হয়েছে ১৯৪৫ সালের ১৮ আগস্ট তাইহুকু বিমান বন্দরে কোন প্লেন নামেনি। কেন্দ্র সরকার আজ পর্যন্ত নেতাজীর প্রয়াণ দিবস ঘোষণা করেনি। অথচ বিনা কোন তথ্যের ভিত্তিতে জে এম এম ও বিজেপি ১৮ আগস্ট নেতাজীর প্রয়াণ দিবস বলে প্রচার চালাল। বিষয়টি দুঃখজনক ও লজ্জা জনক, একটি বড় সড় চক্রান্ত।।                      

প্রতিবেদক - গৌতম চট্টোপাধ্যায়, দুমকা।

No comments:

Post a Comment

বর্ণপরিচয়