শহীদ ক্ষুদিরাম
মঙ্গলবার ১১ আগস্ট সারায়কেলা - খরশোয়া জেলার চান্ডিল এর শহীদ ক্ষুদিরাম বোস স্মারক সমিতির
পক্ষ থেকে চেনপুরের আপগ্রেড হাই স্কুল চত্বরে ১১২ তম বলিদান দিবস পালিত হল। সমিতির
সভাপতি মনোজ বর্মা, সচিব আশু দেব মাহাতো, জেলা পরিষদ এর উপাধ্যক্ষ অশোক সাও, চন্দন
বর্মা, সুভাষ গড়াই করোনা সংক্রমণের ভয়াবহতাকে মাথায় রেখে সামাজিক দূরত্ব পালন করে শহীদের
চিত্রে মাল্যদান করেন। ২০১৬ সাল থেকে শহীদ ক্ষুদিরাম বোস স্মারক সমিতি কান্ডরা চকে
বলিদান দিবস পালন করে আসছে। ১১ আগস্ট ২০১৯ স্মারক সমিতি ওই চকে ক্ষুদিরাম বোসের আবক্ষ
মূর্তি প্রতিষ্টা করে অনুষ্ঠান আয়োজন করতে গেলে, তৎকালীন এস ডি ও বাধা দেন। এলাকায়
১৪৪ ধারা জারি করে দেয়।অগত্যা স্মারক সমিতি পাশের চেনপুরের স্কুল চত্বরে বলিদান দিবস
পালন করে। এলাকায় ধারা ১৪৪ জারি থাকা শর্তে এস ডি ও ড. বিনয় কুমার মিশ্র সেই দিন আবক্ষ
মূর্তি টি স্থানীয় পুলিশের সাহায্যে উপড়ে নিয়ে যান।ওই আবক্ষ মূর্তিটি এস ডি ও কোথায়
রেখেছেন আজ পর্যন্ত স্মারক সমিতির সভাপতি, সচিব ও সদস্যরা জানেনা। সেই সময় রাজ্যের
স্বাধীনতা সংগ্রামী প্রেমী সাধারণ মানুষের ক্ষোভ ও তীব্র প্রতিবাদ হয়, শহীদ ক্ষুদিরাম
বোস স্মারক সমিতি, লোক সাংস্কৃতিক মঞ্চ, অল ইন্ডিয়া সেভ এডুকেশন কমিটি, ব্রেক থ্রো
সায়েন্স সোসাইটির পক্ষ থেকে আন্দোলন হয়। তৎকালীন রাজ্য সরকার ভোট ব্যাঙ্ক এর রাজনীতি
করে বিষয়টি চেপে যায়। সেই সময় বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতি রক্ষা সমিতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী
রঘুবর দাস ও রাজ্যপাল দ্রৌপদী কে আবেদন দিয়ে মূর্তিটি পুন প্রতিষ্ঠা করার দাবি করে।
রাজ্য সরকার কোন পদক্ষেপ না নিলে সমিতি প্রধানমন্ত্রীর দ্বারস্থ হয়। প্রধানমন্ত্রী
কার্যালয়ের সেকশন আধিকারিক রাজীব রঞ্জন কুশবা ৫/৯/২০১৯ রাজ্যের চিফ সেক্রেটারি কে পত্র
দিয়ে বিষয়টির যথা যোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে আদেশ দেন। চিফ সেক্রেটারি বিষয় টি হিম
ঘরে পাঠিয়ে দেয়।বর্তমান জে এম এম সরকারের নগর উন্নয়ন ও আবাস বিভাগের এডিশনাল সেক্রেটারি
চন্দন কুমার ২৯/০৬/২০২০ সারায়কেলা-খরশোয়ার
ডেপুটি কমিশন কে চিঠি দিয়ে বিষয় টির তদন্ত করে যথাযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলেছেন। আশা
করা হয়েছিল এবার বলিদান দিবস কাণ্ডরা চকে হবে। aস্মারক সমিতির সেক্রেটারি আশু দেব মাহাতো
জানিয়েছেন এবার ১১ আগস্ট সকালে পুলিশ বাহিনী নামিয়ে এলাকায়১৪৪ জারি করার কথা বলেছে।
স্থানীয় আধিকারিক ওই চক টিকে বিবাদিত বলে শাক দিয়ে মাছ ঢাকা দিতে চাইছে।
প্রতিবেদক - গৌতম চট্টোপাধ্যায়, দুমকা ।
No comments:
Post a Comment