Ref. No. BAB/ABP/2021/1 Date: 24.05.2021
মাননীয় সম্পাদক
আনন্দবাজার পত্রিকা
বিষয়: সম্পাদক সমীপেষু বিভাগে প্রকাশনার জন্য
আনন্দবাজার পত্রিকায় প্রকাশিত(২৩.০৫.২০২১) “রামমোহন চর্চা সব
সরকারি গ্রন্থাগারে” সংবাদের পরিপেক্ষিতে আবেদন –
"অতি প্রসন্নতার বিষয়, ভারতে আধুনিক যুগের প্রবর্তক রাজা
রামমোহন রায়ের ২৪৯তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে দেশের সমস্ত সরকারি গ্রন্থাগারে
ভারত ও বাংলার চার মনীষার (রামমোহন, সুভাষচন্দ্র, অরবিন্দ এবং সত্যজিত) নামে সব সরকারি
গ্রন্থাগারেই একটি নির্দিষ্ট কোণ থাকবে।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রকের অধীন রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি
ফাউন্ডেশন ‘জাগরিত’ ভারত (রামমোহন), ‘পরাক্রমী’ ভারত (সুভাষচন্দ্র), ‘আধ্যাত্মিক’ ভারত
(ঋষি অরবিন্দ) এবং ‘রচনাত্মক’ ভারত (সত্যজিৎ) নামে গ্রন্থাগারের এই বিভাগগুলির পৃষ্ঠপোষকতা
করবে।
কিন্তু দুঃখের এবং আশ্চর্যের বিষয় যে এই মহতী সিদ্ধান্তে পন্ডিত
ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের নাম বাদ। উনবিংশ শতকের এই প্রাণপুরুষকে আধুনিক বিদ্যালয়শিক্ষা-পদ্ধতির
উদ্ভাবক, সমাজ সংস্কারক, মানবকল্যাণ-সাধক, আধুনিক বাংলাশিক্ষা-পদ্ধতির এবং গদ্যের জনক
বললে হয়ত ভুল বলা হবে না। তিনি বাঙালি সমাজে, কর্মে ও মননে প্রগতিশীল সংস্কারের একজন
অগ্রদূত। এক বছর আগেই আমরা তাঁর দ্বিশতজন্মবার্ষিকী পালন করেছি।
কেন্দ্রীয় সংস্কৃতি মন্ত্রক ও রাজা রামমোহন রায় লাইব্রেরি ফাউন্ডেশনকে
এই সংবাদপত্রের মাধ্যমে অনুরোধ জানাই - বিদ্যাসাগরের নামেও চর্চার একটি নির্দিষ্ট কোণ
প্রত্যেকটি সরকারি গ্রন্থাগারে স্থাপন করা হোক। সে কোণের নাম শিক্ষিত ভারত, কুসংস্কারমুক্ত
ভারত, বিজ্ঞানমনস্ক ভারত, অনেককিছু হতে পারে। কিন্তু দুর্ভিক্ষ ও ম্যালেরিয়াক্লিষ্ট
বাংলায় (এবং আজকের ঝাড়খন্ডে) তাঁর অক্লান্ত মানবসেবার কথা মনে রেখে আজ এই কোভিডের অতিমারির
দিনে সে বিভাগের নাম ‘কল্যাণময় ভারত’ রাখার প্রস্তাব দিলাম।
সুনির্মল দাশ,
সাধারণ সম্পাদক, বিহার বাঙালি সমিতি, রামমোহন রায় সেমিনারী,
ডা০ বিধান চন্দ্র রায় পথ, পাটনা – ৮০০ ০০৪
যুগ্ম সম্পাদক, বিদ্যাসাগর স্মৃতিরক্ষা সমিতি, নন্দন কানন, বিদ্যাসাগর,
জেলা – জামতাড়া, ঝাড়খন্ড
৯৪৩০২৯৪২৮৭ (মোবাইল)
No comments:
Post a Comment